ISRO এর অতিত জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। জানুন ISRO এর পুরো ইতিহাস। ভিডিও সহ

       


Shuvankar Majumder:-

   দিনটা ছিল ৪ঠা অক্টোবর সাল ১৯৫৭, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন উৎক্ষেপণ করলো তাদের স্যাটেলাইট Sputnik- কে উৎক্ষেপণের কিছু সময়ের মধ্যেই সেই স্যাটেলাইটটি সফল ভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন হয়ে গেলো সারা বিশ্ববাসী দেখল মানুষের তৈরি কোন বস্তু পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছেতখন সোভিয়েত ইউনিয়ন  আমেরিকার মধ্যে চলছে ঠাণ্ডা যুদ্ধ কোন দেশই প্রকাশে যুদ্ধ করতে সাহস পাচ্ছে না কিন্তু নিজেদের শক্তিকে তো  প্রদর্শন করতে হবে! এই শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যম হিসেবেই দুই দেশ বেছে নিলো মহাকাশকে শুরু হল মহাকাশ বিজয়ের প্রতিযোগিতা আমেরিকা  সোভিয়েত ইউনিয়ন কোমর বেঁধে নেমে পরলো মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে তারপর সেই লড়াই পৃথিবী ছাড়িয়ে পৌঁছে গেলো চাঁদ, শুক্র, মঙ্গল এমনকি বৃহস্পতি পর্যন্ত সারা বিশ্ব দেখতে থাকলো এই দুই দেশের কাণ্ডকারখানা 

সারা বিশ্বের সব দেশের মধ্যে ভারতও ছিল কিন্তু তৎকালীন সময়ে ভারতের অর্থনীতি মটেই ভালো ছিল না ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনে ভারতের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছিলো দারিদ্রতা, শিক্ষার অভাব, খাদ্যের অভাব ছিল ভারতীয়দের দৈনিক বিষয় মহাকাশে কি হচ্ছে সেই দিক ভুলে ভারত তখন তার নিজের জনগণের মুখে দুমুঠো খাদ্য তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু সেই সময় কিছু মানুষ ছিলেন যারা বিশ্বাস করতেন জনগণের দুর্দশা দূর করতে  ভারতের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে মহাকাশ গবেষণাতে প্রচুর ভাবে বিনিয়োগ প্রয়োজন এমনি একজন মানুষ ছিলেন বিক্রম সারাভাই তিনি বুঝেছিলেন ভারতের জন্য মহাকাশ গবেষণায় বিনিয়োগ কতটা প্রয়োজনীয় স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য কৃষি, জলাশয়, বন সংরক্ষণ, ভুমি বণ্টন সহ নানা ধরনের সমস্যারে সমাধান করবে যা ছিল তৎকালীন ভারতের উন্নতির পথে প্রধান বাঁধা তৎকালীন সরকার বুঝলেন বিষয়টা এবং ১৯৬২ সালে  তৈরি হল ভারতের প্রথম মহাকাশ গবেষণা সংস্থা Indian National Committee for Space Research (INCOSPAR) এই সংস্থা তৈরির পর থেকেই তাদের উদ্দেশ্য ছিল কম খরচে উচ্চমানের মহাকাশ গবেষণা পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালের ১৫ই আগস্ট Indian National Committee for Space Research হয়ে ওঠে Indian Space Research Organisation বা ISRO তৈরির প্রথম থেকেই ISRO কে সঠিক ভাবে বাজেট নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছিলো তারা জানতো আমেরিকা বা সোভিয়েত ইউনিয়নের মত অতটা অর্থনীতির জোর তাদের নেই তাই ISRO ওদের সাথে প্রতিযোগিতায় না গিয়ে নিজেদের সাধ্যের মধ্যে থেকে মহাকাশ গবেষণা শুরু করে তৎকালীন আমেরিকা  সোভিয়েত ইউনিয়নের রকেট ছিল অনেক বেশি খরচ সাপেক্ষ, সেই রকেট দিয়ে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে খরচ অনেক বেশি

ভিডিও তে দেখুন 

 তাই ভারত নিজেদের প্রযুক্তিতে এমন রকেট নির্মাণের চেষ্টা করতে লাগলো যা খুব কম খরচে স্যাটেলাইটকে মহাকাশে স্থাপন করতে পারবে কিছু বার্থতার পর শুরু হল একের পর এক সফলতা তৎকালীন বিশ্বের বাকি দেশের থেকে বহুগুণ কম খরচে  সফলতার সাথে ভারত মহাকাশ গবেষণা শুরু করলো 

এরপর পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে ISRO -এর নজর গেলো চাঁদের দিকে সালটা ছিল ১৯৯৯, Indian Academy of Sciences এর একটা মিটিং  পরিকল্পনা হল চাঁদে গবেষণার উদ্দেশ্যে মহাকাশযান পাঠানো হবে তার কিছু দিন আগেই ভারত PSLV-XL রকেট তৈরি করে ফেলেছে যা প্রায় ৩৫০০ কেজি স্যাটেলাইটকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপিত করতে পারে সেই মত শুরু হল পরিকল্পনা ২০০৩ সালের ১৫ই আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী তার স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতাতে বলেন যে ভারত এবার চন্দ্র বিজয়ে যাবে এই মিশনের জন্য ধার্য হল ৩৮৬কোটি টাকা, যা আমেরিকা বা সোভিয়েত ইউনিয়নের চন্দ্র মিশনের নামমাত্র খরচ এই মিশনের উদ্দেশ্য ছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের গবেষণা চন্দ্রযান   ছিল Moon Impact Probe নামে একটা ল্যান্ডার যার কাজ ছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের মাটিতে জলের অস্তিত অনুসন্ধান আমেরিকা বা সোভিয়েত ইউনিয়ন  পরবর্তী সময়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন চাঁদে যে সমস্ত গবেষণা  অনুসন্ধান করেছিলেন তা সবই ছিল চাঁদের নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছাকাছি আর ১৯৯০ সালে ঠাণ্ডা যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকে আর বিশেষ কোন দেশ চাঁদে কোন বড় ধরনের মিশয় করছিল না ISRO এর চন্দ্রযান  সেই হিসেবে ছিল বহু বছর পর একটা বড় মিশন ২০০৮ সালের ২২ই অক্টোবর ভারতের সতীশ ধওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ভারতের প্রথম Moon Mission  চন্দ্রযান  আর প্রথম বারেই বাজিমাত চন্দ্রযান  এর Moon Impact Probe সম্পূর্ণ সফল ভাবে অবতরণ করে চাঁদের ঠিক দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে এটা একটা বিশ্ব রেকর্ড প্রথম কোন দেশ অবতরণ করলো চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে সাথে এই Moon Impact Probe চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সন্ধান পায় জলের এতদিন পর্যন্ত মনেকরা হত চাঁদে কোন জলের অস্তিত্ব নেই কিন্তু সেই ধারনা ভুল প্রমান করলো ভারত সারা বিশ্ব আরও একবার চাঁদের দিকে আবার আগ্রহ দেখাতে শুরু করলো যদিও ভারত যে Moon Impact Probe কে চাঁদে অবতরণ করিয়ে ছিল সেটা ছিল হার্ড ল্যান্ড অর্থাৎ Moon Impact Probe খুব জোরের সাথে গিয়ে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে বা বলতে গেলে সংঘর্ষ করে সেই সংঘর্ষে চাঁদের মাটি চারিদিকে ছড়িয়ে পরে সেই মাটির তথ্য বিশ্লেষণ করে বোঝা যায় চাঁদের মাটিতে জলের অস্তিত্ব রয়েছে এই আবিষ্কার ভারতের সন্মান বহুগুনে বাড়িয়ে দেয় তাছারাও চন্দ্রযান   আরও অনেক Instruments ছিল যা চাঁদ সম্পর্কে প্রচুর নতুন তথ্য দিয়েছিলো কিন্তু ভারত সেখানেই থেমে থাকেনি চাঁদ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত গবেষণার উদ্দেশ্যে ভারত পরিকল্পনা নেয় চাঁদে একটা ল্যান্ডারকে সফট ল্যান্ড করানো হবে এই ল্যান্ডার বেশ কিছুদিন চাঁদে থেকে তার মাটিকে পর্যবেক্ষণ করবে  তার থেকে নানা ধরনের তথ্য জোগাড় করবে কিন্তু ভারতের কাছে চাঁদে সফট ল্যান্ড করার কোন অভিজ্ঞতা ছিল না আর চাঁদে সফট ল্যান্ড করা খুব একটা সহজ বিষয় ছিল না বিশেষ করে চাঁদের দক্ষিণমেরু অঞ্চলে যেখানের ভূমির গঠন সম্পর্কে সেরকম কোন তথ্যই কারো কাছে নেই তখন ভারত সাহায্য চাইল রাশিয়ার কাছে সংযুক্ত থাকার সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন চাঁদে প্রচুরবার অবতরণ করেছিলো সাথে তারা  চাঁদের মাটি পুনরায় পৃথিবীতে ফিরিয়েও এনেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তাদের সমস্ত মহাকাশ গবেষণার প্রযুক্তি চলে আসে রাশিয়ার কাছে ভারতের উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার থেকে সেই প্রযুক্তিগত সাহায্য নিয়ে চাঁদে অবতরণ মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এই ভাবে একসাথে কাজ করা নতুন কিছু নয় ২০০৯ সালে চুক্তি হয় যে ভারত  রাশিয়া মিলে একটা চন্দ্রঅভিযান করবে সেই অভিযানের জন্য যে ল্যান্ডারটি লাগবে সেটা রাশিয়া বানিয়ে দেবে সেই মত ভারত রাশিয়াকে ল্যান্ডারের ডিজাইন, কেমন অঞ্চলে তা ল্যান্ড করবে তার প্রাথমিক গঠন, কি কি Science Instruments সেখানে থাকবে সব কিছু বলে কথা ছিল যতটা শীঘ্রই সম্ভব এই মিশনটি সম্পূর্ণ করা রাশিয়ার কাছে এই মিশনের সমস্ত প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই প্রস্তুত ছিল কিন্তু তবুও রাশিয়া সেই ল্যান্ডার বানাতে ব্যর্থ হয় বারবার রাশিয়া ল্যান্ডার প্রস্তুতির দিন পিছতে থাকে এইদিকে ভারত দ্বিতীয় চন্দ্রজানের বাকি সমস্ত যন্ত্র ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে এখন ল্যান্ডার তৈরি না হলে সেই সব যন্ত্র নষ্ট হয়ে যাবে কারন এই সব বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি খুব সূক্ষ্ম হয়  খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু রাশিয়ার ল্যান্ডার তৈরির গতি দেখে ভারত বুঝে গেছিলো এই ল্যান্ডার সহজে তৈরি হওয়ার নয় তখন ভারত সিদ্ধান্ত নেই, চন্দ্রযান  তে ব্যাবহারের জন্য যে সব যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়েছে তা দিয়ে নতুন কোন মিশন করার জন্য ISRO ঠিক করে এই যন্ত্র দিয়ে তারা মঙ্গলযান বানাবে যেমন কথা তেমন কাজ, একদম অপেক্ষা না করে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান  তে ব্যবহার করা  যন্ত্র দিয়ে বানিয়ে ফেলেন মঙ্গলযান সেখানেও আসে সাফল্য ইতিহাস তৈরি করে প্রথম চেষ্টাতেই ভারত পৌঁছেযায় মঙ্গলে ২০১৩ সালে দাঁড়িয়ে সেই মিশনের জন্য খরচ পরেছিল মাত্র ৪৫০ কোটি টাকা তার কিছুদিন আগেই আমেরিকা সেই একই মিশন করেছিলো প্রায় ৪০০০ কোটি টাকায় অর্থাৎ ভারতের মিশনের থেকে প্রায়  গুন বেশি খরচে  



এখন মঙ্গল জয় তো হল কিন্তু চাঁদে সফট ল্যান্ড করার স্বপ্ন তো অধরাই থেকে গেল  ২০১৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও রাশিয়ার থেকে তারা কোন সদুত্তর না পেয়ে ভারত বাধ্য হয়ে রাশিয়ার সাথে চুক্তি ভেঙে দেয় ISRO ঠিক করে তারা নিজেরাই ল্যান্ডার তৈরি করবে আর তার সাথে তারা একটা রোভারও বানাবে যা চাঁদের মাটিতে চলবে   যদিও ভারতের কাছে এই ধরনের ল্যান্ডার তৈরির কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না, তবুও তারা তাদের সীমিত বাজেট  প্রযুক্তি দিয়ে নিজেরাই ল্যান্ডার  রোভারও তৈরি করতে শুরু করে ২০১৯ সালের মধ্যে তারা তৈরি করে ফেলে সম্পূর্ণ নিজস্ব পদ্ধতিতে মুন-ল্যান্ডার বিক্রম  রোভারও প্রজ্ঞান তবে এই ল্যান্ডার  রোভারও ছিলো মূল চন্দ্রযান মিশনের একটা ছোট পার্ট প্রধানত এটা ছিল টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেশন অর্থাৎ ভারত দেখতে চেয়েছিল তারা নিজেদের টেকনোলজি ব্যবহার করে চাঁদে সফট ল্যান্ডার করতে পারবে কি না চন্দ্রযান  এর মূল উদ্দেশ্য ছিল তার অরবিটার যেখানে রয়েছে বিশ্বের সবথেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা যদিও দুঃখের বিষয় চন্দ্রযান  এর ল্যান্ডারটি সঠিক ভাবে চাঁদে ল্যান্ড করতে পারেনি চাঁদের পৃষ্ঠের থেকে মাত্র  কিলোমিটার উপরে থাকতেই ল্যান্ডারের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ফলে  ল্যান্ডার  রোভারটি চাঁদের মাটিতে আছড়ে পরে নষ্ট হয়ে যায় তবে চন্দ্রযান  এর মূল অরবিটারটি সম্পূর্ণ সফলতার সাথে কাজ করে চলেছে তাতে থাকা উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা চাঁদের এমন অনেক তথ্য আমাদের দিয়েছে যা ইতিপূর্বে বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা ছিল চন্দ্রযান  এর ক্যামেরায় তোলা ছবি দিয়ে ISRO তৈরি করে এখনো পর্যন্ত তৈরি হওয়া চাঁদের সবথেকে High Resolution Mapping যা প্রায় সমগ্র চন্দ্রপৃষ্ঠ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়, বিশেষ করে চাঁদের দক্ষিণমেরুর সঠিক topology এই তথ্যর উপর ভিত্তি করে  চন্দ্রযান  আর অবতরনের ব্যর্থতার তথ্য অনুসন্ধান করে ISRO  তৈরি করতে শুরু করে তাদের পরবর্তী Moon Mission চন্দ্রযান  তারপর দীর্ঘ প্রায়  বছরেরে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ISRO তৈরি করে আরও উন্নত ল্যান্ডার  রোভার গতবারের অবতরণের ব্যর্থতার জন্য যে যে কারন গুলি ছিল তা সমস্ত কিছু সংশোধন করা হয় তারপর আসে সেই দিন ১৩ই জুলাই দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ভারতের তৃতীয় চন্দ্র অভিযান চন্দ্রযান  এই উৎক্ষেপণ করতে ব্যবহার করা হয় ভারতের সব থেকে শক্তিশালী রকেট LVM3 যদিও LVM3 ভারতের সব থেকে শক্তিশালী রকেট, তবুও তার শক্তি অতো বেশি ছিলনা যে তা চন্দ্রযান  কে সরাসরি চাঁদে নিয়ে যেতে পারবে তাই ISRO একটা বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করে যার নাম Gravity assist এই পদ্ধতিতে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলকে কাজে লাগিয়ে খুব ধিরে ধিরে রকেটের গতিকে বৃদ্ধি করা হয় এই পদ্ধতিতে খুব কম জ্বালানী খরচ করে মহাকাশ যাত্রা করা সম্ভব এটাই করে ছিলো ISRO এই কারণে চন্দ্রযান  কে চাঁদে যেতে সময় লেগেছিলো প্রায় ৪০ দিন যেখানে বাকি দেশ  থেকে  দিনের মধ্যেই পৃথিবী থেকে চাঁদে পৌঁছে যায় এমন কি NASA এর New Horizons মাত্র  ঘণ্টা ৩৭ মিনিটে পৃথিবী থেকে চাঁদে পৌঁছে যায় কিন্তু এই ধরনের মিশনে জ্বালানী খরচ হয় খুব বেশি ফলে এই মিশন গুলি খুব খরচ সাপেক্ষ হয় যেমন রাশিয়ার লুনা ২৫ এর খরচ পরেছিলো প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা যেখানে চন্দ্রযান  এর খরচ পরেছিলো মাত্র ৬১৫ কোটি টাকা যদিও রাশিয়ার লুনা ২৫ চাঁদে অবতরণে ব্যর্থ হয়

দেখুন চাঁদের  রহস্য 



কিন্তু ভারত হয় সগৌরবে সফল ২৩ই আগস্ট সন্ধ্যে ৬টা  মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফল ভাবে অবতরণ করে চন্দ্রযান  এর ল্যান্ডার বিক্রম সারা বিশ্ব দেখে ভারতের এই সাফল্য যেই স্থানে আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপ, চিন, জাপান কেউ পৌছতে পারেনি সেখানে পৌঁছে গেলো ভারত এক অজানা জগৎকে জানার রাস্তা খুলে দিল ভারত এই সাফল্য ভারতের প্রত্যেকটি মানুষের  

(বানানগত ভুল মার্জনীয়)

আরও দেখুন ঃ- খুব কম খরচে বাড়িতে কিভাবে বোতল সিলিং মেসিন তৈরি করা যায় ।




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চন্দ্রযান -৩ এখন কোথায় আছে ? দেখুন লাইভ লোকেশান।

অবশেষে প্লুটোর সবচেয়ে বড় চাঁদ ক্যারন এর রহস্য ভেদ হল